মালদা

আসন সংখ্যা কম থাকায় কলেজের রুম ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সাইকেল স্টান্ড ও কলেজের বারান্দাতে

পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসে নাজেহাল অবস্থা ছাত্রছাত্রীদের।  আসন সংখ্যা কম।  পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় একটি বেঞ্চে পাঁচ জন পরীক্ষার্থী। শুধু তাই নয় সাইকেল স্টান্ড ও কলেজের বারান্দাতেও  চলছে পরীক্ষা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর পরীক্ষাকেন্দ্রের দৃশ্য খানিকটা হলেও অন্যরকম। এমনই কিছু দৃশ্য দেখা গেল মালদা কলেজ প্রাঙ্গনে। জেলার সব কলেজেই কমবেশী এমন দৃশ্য হলেও মালদা কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রের এদিনের ছবিটা ছিল অন্যরকম যা আমাদের ক্যামেরায় ধরা হয়েছে। মালদা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম সরকার জানান গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এমনভাবে পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষকের নজরদারিতেও সমস্যা হচ্ছে। চলছে অবাধে নকল। সমস্ত স্থানে সিসিটিভি না থাকায় গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। কেবল তাই নয় একটি বেঞ্চে চার থেকে পাঁচ জন পরীক্ষার্থী বসার ফলে কার্যত টুকলী করেই চলছে পরীক্ষা। এমন অবস্থার সম্ভবনার আশঙ্কা করে বিষয়টি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়। তবুও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিকল্প ব্যবস্থা করেননি। উত্তমবাবু জানান ১২০০পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেবার ব্যবস্থা রয়েছে মালদা কলেজে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দুটি কলেজের মোট চার হাজারের বেশী পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে এই কলেজে।

     এদিকে পরীক্ষার্থীরা জানান, এমনভাবে পরীক্ষা দেবার অভিজ্ঞতা কোন দিন হয় নি। একই ব্রেঞ্চে পাঁচ জন করে বসার কারনে অসুধা হচ্ছে তাদের।পরীক্ষা কেন্দ্রে দেওয়া হয়নি সিট নম্বর নিজের ইচ্ছে মতো বসছে পরীক্ষার্থীরা।এমনকি ঘরে, কলেজের বারান্দায় ও সাইকেল রাখার স্ট্যান্ডে নোংরার মধ্যে দিতে হচ্ছে পরীক্ষা। ফলে এক রকম অসস্থির মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা।

    এই বিষয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে মালদা কলেজে নিজস্ব ছাত্র সংখ্যা প্রায়  ছয় হাজারের কাছাকাছি। তাদের পরীক্ষা নেবার সময় কোন সমস্যা হয় না। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় এই সমস্যা তৈরী হয় কেন?উল্লেখ্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরেরও পরীক্ষা  এই কলেজে এমনই ভাবে নেওয়া হয়েছিল।